অস্ত্র জমা দিচ্ছেন চট্টগ্রাম আ. লীগের দাপুটে নেতারা

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর এলাকার কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী। আওয়ামী লীগের এ নেতার ছিল লাইসেন্স করা অস্ত্র। যেটি দিয়ে ভয় দেখাতেন স্থানীয়দের। ভূমি দখলের কাজেও ব্যবহৃত হতো এটি। ভোট ডাকাতিতে অস্ত্রটি ব্যবহৃত হতো বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

পুরো এলাকায় কাউন্সিলর মোবারকের ভয়ে তটস্থ ছিলেন এলাকার লোকজন। কথায় কথায় লোকজনের ওপর হামলার কারণে আলোচিত এ কাউন্সিলরের নামে অস্ত্রটি জমা দেওয়া হয়েছে পাঁচলাইশ থানায়। তার পার্শ্ববর্তী ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোরশেদ আলম। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। তার লাইসেন্স করা অস্ত্রটিও পাঁচলাইশ থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। 

লাইসেন্স বাতিলের পর শুধুমাত্র পাঁচলাইশ থানায় জমা হয়েছে ২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র। এ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, থানা এলাকায় ৩১টি লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বিভিন্ন মানুষের হাতে ছিল। এর মধ্যে ২৯টি জমা হয়েছে। আর বাকি দুটিও জমা হবে বলে আশাবাদী।

নগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ থানা কোতোয়ালি। এই থানা এলাকার লাইসেন্স করা ৪৭টি অস্ত্র থানায় জমা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা গেছে, কোতোয়ালি আর পাঁচলাইশ থানা ছাড়া বাকলিয়ায় ২টি, সদরঘাটে ১০টি, চকবাজারে ৭টি, চান্দগাঁওয়ে ২৫টি, খুলশীতে ২৪টি, বায়েজিদে একটি, ডবলমুরিংয়ে ১০টি, হালিশহরে ৩টি, পাহাড়তলীতে ৫টি, আকবরশাহ ও বন্দর থানায় ৫টি করে, পতেঙ্গায় একটি ও কর্ণফুলী থানায় চারটি অস্ত্র জমা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তারেক আজিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, লাইসেন্স বাতিল ঘোষণার পর থেকে অস্ত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। থানায় থানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এসব অস্ত্র বুঝে নিচ্ছেন।

গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যেসব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বেসামরিক জনগণকে দেওয়া হয়েছে সেগুলো স্থগিত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে এসব অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমআর/এমজে