নাইমুর রহমান দুর্জয় (বাঁয়ে) ও এনামুল হক (ডানে) / ছবি : সংগৃহীত

বিভিন্ন দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও ক্রিকেটার নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি এনামুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

দুদকের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সাবেক এমপি দুর্জয় ও এনামুলের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি এনামুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি তার নির্বাচিত এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি নিয়োগে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন।

তার নিজ নামে রাজশাহী, ঢাকা ও গাজীপুরে কৃষি ও অকৃষিজমিসহ তাদের পরিবারের নামে মোট ২৩ কোটি ৫০ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া, তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে আরিচা নৌ-টার্মিনালের নিকটবর্তী বিআইডব্লিউটির জমি দখল করে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। তার আত্মীয়-স্বজনের নামে সিন্ডিকেট তৈরি করে নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলণ করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈকন্ঠপুর, ঘিওর, মানিকগঞ্জে ১২ বিঘা জমি, মানিকগঞ্জ শহরে ১ তলা বাড়ি, বিভিন্ন ব্যাংকে ও ব্যবসায় বিনিয়োগসহ তার নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ এবং তার মালিকানায় ১টি মার্ক টয়োটা, জি বক্স-১০০ ও ১টি টয়োটা ল্যান্ড ক্রজারসহ মোট ৩ কোটি ১৬ লাখ ৪ হাজার ৭৪৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রাথমিকভাবে সত্যতা মিলেছে দুদকের অনুসন্ধানে।

আরএম/কেএ