চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। 

রাতে ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসকরা হাসপাতালে আসা রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু করেছেন। হাসপাতালে আসা রোগীরা টিকিট কেটে জরুরি বিভাগে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারছেন। 

এদিকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে ২ প্লাটুন বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের সঙ্গে দুইজন প্রবেশ করতে পারবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন ও দর্শনার্থীদের তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। লাঠি, ধারালো অস্ত্র বা জীবনহানি হয় এমন কোনো জিনিস নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক জানান, শর্ত সাপেক্ষে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে সেবা দেওয়া শুরু করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে এবং মূল দাবি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকদের মারপিট করা দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি আমাদের নিরাপত্তায় হাসপাতালে সেনাবাহিনী এবং বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। আশা করব, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসকরা। এরই জেরে আজ দিনভর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন ঢামেকের চিকিৎসকরা।

এসএএ/এসকেডি