চিকিৎসকদের ওপর হামলার জেরে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা। রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ঢামেক পরিচালকের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসে এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল।

তবে, আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষ না করেই কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।   

আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মুখপাত্র ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, ঢামেকে যত চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করবেন তাদের প্রত্যেকের বিপরীতে তত নিরাপত্তাকর্মী না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কাজে ফিরব না। আর আগামী সাত দিনের মধ্যে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন না করলে রুটিন ওয়ার্কেও ফিরব না। 

এর আগে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, চিকিৎসকরা জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু করবেন। তাদের নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। চিকিৎসক মারধরের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আটক বা গ্রেপ্তার করার পরপরই তারা সম্পূর্ণভাবে চিকিৎসাসেবা দেবেন। আপাতত এখন থেকে জরুরি চিকিৎসাসেবা শুরু হচ্ছে।

চিকিৎসকরা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন কি না– জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমপ্লিট শাটডাউন আর নেই। এটা থেকে চিকিৎসকরা সরে এসেছেন। তারা এখনই জরুরি সেবা চালু করছেন। যে নিশ্চয়তা তারা চেয়েছিল সেই নিশ্চয়তা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তাদের দিয়েছেন। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ এবং সিভিলে আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। চার বাহিনী মিলিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ওয়ার্ডে, আইসিইউতে যেসব রোগী ভর্তি আছে তাদের চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া ক্যাজুয়ালিটি, নিউরো সার্জারি এবং জরুরি বিভাগ চালু হচ্ছে।

এসএএ/এসকেডি