স্কুল-মাদ্রাসার নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য, আওয়ামীপন্থি চক্রের যোগসাজশে প্রভাব বিস্তার ও জনগণের প্রত্যাশিত সেবা নিতে গেলেও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে নড়াইলের কালিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনু সাহাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে অপসারণ চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর ওই অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ শিক্ষার্থী। আপনি অবগত আছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের ইন্ধনে দেশের মাঠ প্রশাসনে ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। এই ছোবল থেকে বাদ যায়নি কালিয়া উপজেলাও। গত ১২ মার্চ ২০২৩ সাল থেকে কালিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তা রুনু সাহা। যোগদানের পর থেকেই উপজেলার আওয়ামীপন্থি একটি চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। এ উপজেলার একাধিক স্কুল এবং মাদ্রাসায় একজন নৈশপ্রহরী পদেও তিনি সাত থেকে দশ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। স্থানীয় হাট-বাজারের ইজারা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব জায়গা থেকেই হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। পাশাপাশি সিটিজেন চার্টার্ড অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশিত সেবা নিতে গেলেও করেছেন দুর্ব্যবহার ও হয়রানি।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আওয়ামী সরকারের প্রেতাত্মা হিসেবে কাজ করা এই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। অন্যথায় উপজেলা প্রশাসন ঘেরাও করে অসহযোগ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনু সাহা বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো জানি না। অভিযোগ দিলে শুনানি হবে। প্রক্রিয়া অনুযায়ীই সব হবে। 

অভিযোগকারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক ব্যক্তি বলেন, আমরা অভিযোগ জমা দিয়েছি। আমরা চাই অতিদ্রুত তার বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এমএম/এসএম