ঢামেকের জরুরি বিভাগ বন্ধ, ফিরে যাচ্ছেন অনেক মুমূর্ষু রোগী
চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, দোষীদের গ্রেপ্তার ও সেনাবাহিনী মোতায়েন না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (ঢামেক) নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ব্লকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
আব্দুল আহাদ বলেন, অনতিবিলম্বে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সব উপজেলা, জেলা সদরসহ সব হাসপাতালে আর্মি নিয়োগ করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন গতকাল শনিবার থেকে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আমাদের তিনজন চিকিৎসককে নিউরোসার্জারি বিভাগ থেকে মারতে মারতে প্রশাসনিক ব্লকের পরিচালকের রুমে নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বহিরাগতরা এসে হাসপাতালে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) এসে ভাঙচুর চালায়। এ রকম ঘটনা যদি প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা রোগীদের কীভাবে চিকিৎসাসেবা দেব? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের আমরা চিকিৎসাসেবা দিয়েছি। যেখানে আমাদের নিরাপত্তা নেই সেখানে আমরা কীভাবে চিকিৎসা দেব?
এরই ধারাবাহিকতায় ঢামেক হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ডের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। এতে করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ও তাদের স্বজনরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
রোববার (সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাদের কক্ষ বন্ধ রেখেছেন। পাশাপাশি বন্ধ আছে জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার। এতে করে রোগী ও স্বজনদের ভিড় লেগেছে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে। এছাড়া, জরুরি বিভাগ বন্ধ থাকায় ফিরে যাচ্ছেন অনেক মুমূর্ষু রোগী।
ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে এসেছি দুই ঘণ্টা হলো। কিন্তু এখনও টিকিট কাটতে পারিনি, চিকিৎসা তো দূরের কথা। ডাক্তারদের আন্দোলন কতক্ষণ চলবে কে জানে। এখন মনে হচ্ছে ফিরে যেতে হবে অন্য কোথাও। এখানে শত শত রোগীর ভিড় লেগে গেছে। অনেক মুমূর্ষু রোগীর স্বজনরা তাদের রোগী নিয়ে ফিরে যাচ্ছে অন্য কোনও হাসপাতালের খোঁজে।
এএসএস/কেএ