ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত থেকেই উত্তেজনা চলছে। চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

নিজের ফেসবুকের ভেরিফাইড পেইজ থেকে এবিষয়ে দেওয়া ভিডিও বার্তা ও পোস্টে তিনি বলেন, আমার ডাক্তার ভাইদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের ওপর যে বা যারা হাত তুলেছে তাদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে। যদি কোনো পেশেন্টের মৃত্যুর জন্য হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বা কোনো ডাক্তার দায়ী থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে তারও বিচার হতে হবে। কিন্তু আমার মনে হলো আর আমি কারো গায়ে হাত তুলে ফেললাম, এই স্পর্ধা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। সব চক্রান্তের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা সোচ্চার আছে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) চিকিৎসার অবহেলায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ এনে ৩ চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। তার জেরেই রোববার চিকিৎসকরা সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া দিয়েছেন।

ঢামেক সূত্র জানায়, প্রথমে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার রাতে হট্টগোল হয়। মৃত শিক্ষার্থীর নাম আহসানুল ইসলাম (২৫)। আহসানুল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এআর/পিএইচ