ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

দেশে গত মে মাস থেকে চলতি আগস্ট পর্যন্ত চার মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১ কোটি ৮৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব দুর্যোগের মধ্যে ছিল ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা। সবচেয়ে বেশি ৫৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে দেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাম্প্রতিক বন্যায়। জাতিসংঘের মানবিক–বিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

চার মাসের দুর্যোগে প্রায় ২ কোটি মানুষ আক্রান্ত

ইউনিসেফ ছাড়াও দুর্যোগ নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর জোট ইন্টার কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ ও হিউম্যানিটারিয়ান টাস্কফোর্স টিম বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে যৌথ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে বলা হয়, সর্বশেষ বন্যাকবলিত ১১টি জেলায় সাত হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে খাওয়ার পানির উৎস, পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা, পাঠদান কক্ষসহ বেশির ভাগ অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশির ভাগ স্কুলের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ঝালাইয়ে নজর দিল্লির

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের শাসনামলে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে দুই দেশের শীর্ষ ব্যক্তিরাই সোনালি অধ্যায় বলেছেন। দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া নয়াদিল্লির প্রায় সব ইচ্ছাই পূরণ করেছে ঢাকা। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন ও ভারতে আশ্রয় গ্রহণ নয়াদিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।

একই সঙ্গে বাংলাদেশে প্রবল ভারতবিরোধী মনোভাবও নজর এড়ায়নি দেশটির। ভারত প্রসঙ্গ এলেই ‘স্বার্থের সম্পর্কে’ ছাড় না দেওয়ার কথা বলছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকায় নতুন এই রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চান নয়াদিল্লির কর্তাব্যক্তিরা।

কালবেলা

‘ক্যাসিনো’ সম্রাটের কোনো মামলারই বিচার শুরু হয়নি

অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। পরে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে পৃথক চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে মানি লন্ডারিং মামলাটি ছাড়া অন্য তিন মামলায় সম্রাটকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত হলেও এসব মামলার কোনোটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়নি।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরদিন ৭ অক্টোবর র‌্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন।

যুগান্তর

প্রিয়জন জীবিত না মৃত

শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরে যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তারা জীবিত নাকি মৃত, সেই তথ্য অবিলম্বে জানতে চান তাদের স্বজনরা। এছাড়া তারা গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছেন। 

শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের প্ল্যাটফর্ম ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেন মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক, আইনজীবী ও নিখোঁজদের স্বজনরা। মানববন্ধনে তারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধেরও দাবি জানান।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

১৪ মন্ত্রী-এমপির রিমান্ড

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্র-জনতা নিহতের ঘটনায় মামলা শুরু হয়। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তার সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও দলের নেতাদের আসামি করা হচ্ছে। এসব মামলায় মন্ত্রী-এমপিসহ শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে থাকা অন্যদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আনা হচ্ছে রিমান্ডে।

গতকাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে থাকা ১৪ মন্ত্রী-এমপিকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জন মন্ত্রী এবং আটজন এমপি রয়েছেন। তাদের কাছে শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন অপকর্মের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। অনেকে এক দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন। আবার অনেকে বিভিন্ন মামলায় দ্বিতীয় বা কয়েক দফা রিমান্ডে এসেছেন। রিমান্ডে থাকা এসব ব্যক্তিদের কাছে মূলত গুম, খুন, আইনের অপব্যবহার, লুটপাট, টাকা পাচারসহ সার্বিক বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে।

সমকাল

বিদ্যুৎ জ্বালানিতে যথেচ্ছ লুট

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় খুচরায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় দাম ছিল ৩ টাকা ৭৩ পয়সা। বর্তমানে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৮ টাকা ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ, গত সাড়ে ১৫ বছরে খুচরায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১৪২ শতাংশ। ২০০৯ সালে গ্যাসের দুই চুলার মাসিক বিল ছিল ৪৫০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮০ টাকা। অর্থাৎ গেল সাড়ে ১৫ বছরে গ্যাসের দাম বেড়েছে ১৪০ শতাংশ।

এই সময়ে বিদ্যুৎ খাতের লোকসান ঠেকেছে ২ লাখ কোটি টাকার ওপরে। বিপরীতে সরকার ভর্তুকি দিয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা। গত পাঁচ বছরে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ভর্তুকি দিতে হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা।

কালের কণ্ঠ

দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ : দুদকের জালে ৭০ রাঘব বোয়াল

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী সরকারের ৭০ মন্ত্রী, এমপি, আমলা আর সুবিধাভোগী ভিআইপি ব্যবসায়ী এখন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের জালে। অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় বিপুল ধন-সম্পদ এবং প্রভাব-প্রতিপত্তির অভিযোগে এরই মধ্যে অনেকেই জেল-জরিমানার মুখে থাকলেও তাঁদের রেহাই নেই দুদকের খড়্গ থেকেও।

ক্ষমতার পালাবদলে নখদন্তহীন দুদক তার জাত চেনানোর সুযোগে লম্বা তালিকা করে ভিআইপি দুর্নীতিবাজদের ধরতে কাজ শুরু করেছে। সংস্থাটি গত ১৫ বছরে যা না করতে পেরেছে, মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সংস্থাটির হাতে বিশাল কাজের ফর্দ।

এছাড়া নরদা বিলের ৫০০ বিঘাই নসরুল হামিদের কবজায়;  বন্যায় পূর্বাঞ্চলে ২০ লাখেরও বেশি শিশু ঝুঁকিতে;  পোশাক শিল্পে সংকট উত্তরণে দ্রুত ব্যবস্থা চান ব্যবসায়ীরা; বাতিল হতে যাচ্ছে ৫০ কোটির টেন্ডার; শিক্ষকদের সরাতে যা হচ্ছে তা সমর্থনযোগ্য নয়: সারজিস—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।