নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় দায়মুক্তি পেলেন এসপি শামীমা
‘অসদাচরণের’ অভিযোগে দায়ের হওয়া বিভাগীয় মামলার তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ট্রেনিং) শামীমা ইয়াসমিন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিআইডি ও ইতঃপূর্বে ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলের বিশেষ পুলিশ সুপার (ট্রেনিং) শামীমা ইয়াসমিন কর্মরত থাকাকালে নিয়মিত অফিসে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে মৌখিকভাবে বারবার বলতেন। এ সত্ত্বেও তার আচরণের কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত না হওয়া, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত অফিসে অনুপস্থিত থেকে ট্রেনিং বিষয়ক এবং অন্যান্য অফিসিয়াল কার্যাদিসহ রুটিন মাফিক অফিসের কর্মসম্পাদন না করা এবং অনুপস্থিতির বিষয়ে তার কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়।
দীর্ঘদিন জবাব দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা কারণ দর্শানো হয়। তিনি কারণ দর্শানোর জবাব দেন। তার ব্যক্তিগত শুনানির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানিকালে অভিযুক্ত কর্মকর্তার লিখিত জবাব, উভয়পক্ষের বক্তব্য এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক তথ্য-প্রমাণাদির আলোকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের প্রয়োজনীয়তা থাকায় গত ২৯ এপ্রিল সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৭(২)(ঘ) বিধি মোতাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত শেষে গত ২০ আগস্ট প্রতিবেদনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে মন্তব্য করেন।
এমতাবস্থায়, বর্তমানে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ও ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুলের সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার (ট্রেনিং) শামীমা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন বিবেচনায় তাকে বিভাগীয় মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জেইউ/কেএ