রাজধানীর দারুসসালাম থানা এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে জাররাফ আহমেদ (৩১) নামে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন। এ সময় ছিনতাইকারী তার কাছে থাকা দু’টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ভোরে এই ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি বুধবার (২৮ আগস্ট) সামনে এসেছে।

নিহতের বন্ধু আহসানুল হক জাহিদ বলেন, জাররাফ আমার ছোটবেলার বন্ধু। আমরা একসাথে লেখাপড়া করেছি। বর্তমানে সে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিল। চার পাঁচ মাস আগে সে বিয়ে করে। তার স্ত্রী বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় আছে। গত সোমবার (২৬ আগস্ট) জাররাফ গ্রামের বাড়ি নওগাঁ থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে। 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ভোরে সে কল্যাণপুরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে রিকশায় চড়ে মিরপুর ডিওএইচএসে যাওয়ার সময় দারুসসালাম থানার একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁর সামনে কয়েকজন তার গতিরোধ করে। এ সময় ধারালো অস্ত্র ধরে তার কাছে থাকা আইফোন-১৫, একটি রিয়েলমি মোবাইল, একটি ম্যাকবুক ও টাকা নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। তখন সে বাধা দিলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায় ছিনতাইকারীরা। তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আজ (বুধবার) দুপুরে জাররাফের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। মরদেহের গোসল সম্পন্ন করে গ্রামের বাড়ি নওগাঁয় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মিরপুর এলাকায় সে একাই থাকত। তার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। জাররাফের চাচাতো বোন কানিজ শারমিন বাদী হয়ে দারুস সালাম থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। জাররাফ নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার শ্যামপুর থানার বদরুদ্দোজার ছেলে। 

আহসানুল হক জাহিদ আরও বলেন, আমরা আমার বন্ধুর হত্যার বিচার চাই এবং এদের ধরে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিব উল হোসেন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার হত্যার ঘটনায় আমরা থানায় একটি মামলা নিয়েছি। আমাদের অফিসার এ বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি।

এসএএ/কেএ