প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হলেও তাতে যোগদান করতে পারছিলেন না দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মো. হুসাইন। সিভিল সার্জনের কাছ থেকে সঠিক প্রত্যয়নপত্র না পাওয়াই তার মূল কারণ। তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগ ও তৎপরতায় অবশেষে মো. হুসাইন চাকরিতে যোগদান করতে পেরেছেন।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এক বার্তায় এ তথ্য জানান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান।

বার্তায় তিনি বলেন, সাতক্ষীরার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মো. হুসাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ার পরও দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতার কারণে নিয়োগপত্র পাচ্ছিলেন না।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন তাকে যোগ্য-অযোগ্য কোনোটাই উল্লেখ না করে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন। এ বিষয়ে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও প্রতিকার না পেয়ে শেষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন।

বার্তায় বলা হয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ১৬(১)(ঝ) এ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মে নিযুক্তির অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। হুসাইনের বিষয়টি বৈষম্যমূলক হওয়ায় এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রেরণের জন্য মানবাধিকার কমিশন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেয়।

অবশেষে কমিশনের দৃঢ় অবস্থানের ফলে নানা প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে তিনি গত ১ আগস্ট মো. হুসাইন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে যোগদান করতে পেরেছেন। 

ওএফএ/এমএসএ