আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। এরইমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের, ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

পানি কমলেও বন্যা পরবর্তী নানান রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে দুর্গত এলাকায়। এমন অবস্থায় এসব এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথেই মেডিকেল ক্যাম্প করার মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সংস্থাটির কার্যালয়ে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে উদ্ধার তৎপরতা, ত্রাণ বিতরণ এবং পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। ওই সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্যার শুরু থেকেই দুর্গত এলাকার মানুষদের উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএ স্পিডবোটের মাধ্যমে সেবা দিয়েছে। দুর্গম অঞ্চলগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে ত্রাণ।

তবে বর্তমানে কুমিল্লা এবং ফেনীতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় এসব এলাকায় স্পিডবোটের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। তাই নোয়াখালী এবং লক্ষীপুর জেলায় স্পীডবোটগুলোকে কাজে লাগানো যায় কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জেলা প্রশাসকদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।

তবে এই ২ জেলায় ত্রান বিতরণ কাজে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় জোরালো করার বিষয়টি সভায় আলোচিত হয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ এই ২ জেলায় ২ হাজার ৫০ প্যাকেট ত্রান বিতরণ করেছে। আরও ১ হাজার ৫৭৫ প্যাকেট ত্রাণ জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বিতরণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

অপরদিকে সভায় নোয়াখালী এবং লক্ষীপুর জেলায় ত্রাণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বন্যা পরবর্তী বাস্তবতা অনুযায়ী ত্রাণ নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্টরা প্রস্তাব দিয়েছেন।

আরএইচটি/এসএমডব্লিউ