বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়ানোর জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য পণ্য আমদানি করার জন্য তিনি আহ্বান করেছেন। 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ম্যানটিটস্কি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান করেন। 

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। 

বৈঠকে তিনি রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে এবং খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি অনুসন্ধান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধে রাশিয়ার ভূমিকা এবং চট্টগ্রাম বন্দরে এর গুরুত্বপূর্ণ মাইন পরিষ্কার কার্যক্রমের কথা স্মরণ করেন।

তিনি রাশিয়ার দূতকে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান, যার মধ্যে তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য পণ্য রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে।

রাষ্ট্রদূত ম্যানটিটস্কি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। কারণ এটি দেশে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি করে। গত বছর রাশিয়া বাংলাদেশে ২.৩ মিলিয়ন টনের বেশি গম রপ্তানি করেছিল এবং এ বছর চালান দুই মিলিয়ন টন ছাড়িয়েছে।

রাষ্ট্র পরিচালিত রাশিয়ান জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম ভোলা দ্বীপে আরও পাঁচটি গ্যাস কূপ এবং অভ্যন্তরীণ আরও কূপ অনুসন্ধানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং আগামী বছর এটি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাশিয়াও বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানি করতে আগ্রহী।

প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সহযোগিতা এবং জনগণের জনগণের সম্পর্কের প্রসারের ওপরও জোর দিয়েছেন।

এমএসআই/পিএইচ