বন্যার পানি না কমার কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার মোবাইল অপারেটর কোম্পানির অসচল সাইটের (টাওয়ার) সংখ্যা আরও বেড়েছে। নোয়াখালী জেলায় অসচল সাইটের সংখ্যা বেড়েছে ৮৬টি (৭ দশমিক ৫ শতাংশ) এবং লক্ষ্মীপুর জেলার অসচল সাইটের সংখ্যা বেড়েছে ৩১টি (৪ দশমিক ৪ শতাংশ)। এই দুই জেলায় সবমিলিয়ে মোট অচল সাইটের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৯৪ এবং ৪৫টি।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে অসচল সাইটের সংখ্যা ৯৮৮ থেকে ১০০১ তে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা শতকরা হিসেবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ আগের তুলনায় মোট ০ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে।

তবে ফেনী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অসচল সাইটের সংখ্যা কমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই জেলায় অচল সাইটের পরিমাণ ৫৯১ থেকে ৫৩৮ তে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু ফেনী জেলার ৩টি উপজেলা পুরোপুরি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় নেটওয়ার্কের পুনরুদ্ধার কাজ ভালোভাবে শুরু করা যায়নি।

মোবাইল অপারেটরদের গ্রিন ফিল্ড সাইটগুলো এখনও পানিতে ডুবে আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মূল ট্রান্সমিশন হাব সাইটগুলো তার গ্রিন ফীল্ড টাওয়ারের ওপর নির্ভর করে থাকে। গতকাল পর্যন্ত জেনারেটর দিয়ে এসব এলাকায় বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে অচল সাইটগুলো চালুর চেষ্টা করা হয়েছে।

মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল করতে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী

বিটিআরসি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল করতে ৫টি স্পিডবোট দিয়ে সার্বক্ষণিক সহায়তা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এসব স্পিডবোট ব্যবহার করে অপারেটররা টাওয়ার সচল করতে টেকনিক্যাল জনবল, নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম, জেনারেটর ও জ্বালানি পরিবহন করতে পারছেন। এক্ষেত্রে গ্রামীণফোনকে ২টি, রবিকে ২টি ও বাংলালিংককে ১টি স্পিডবোট দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।

এছাড়া পানির উচ্চতা কমে আসলে এবং বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন কার্যক্রম আরও দ্রুত গতিতে করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

আরএইচটি/পিএইচ