ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের একপর্যায়ে সচিবালয় এলাকা ছেড়ে গেছেন আন্দোলনরত আনসার সদস্যরা। বর্তমান সচিবালয় এলাকা নিজেদের দখল নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে সচিবালয়ের আশপাশ। 

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ১০টার পরে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।  

বর্তমানে ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এর আগে, আনসার সদস্যরা সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর চালান। পরে চারিদিক থেকে শিক্ষার্থীদের মিছিল আসায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে শুরু করেন আনসার সদস্যরা। জাতীয় প্রেস ক্লাব সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে অধিকাংশ সদস্যদের নিরাপদে চলে যেতে দেওয়া হয়। এর মধ্যে অনেক আনসার সদস্য মারধর, লাথি, কিল, ঘুসি আর লাঠিপেটার শিকার হন।

প্রসঙ্গত, রোববার চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে দুপুরে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারী আনসারদের একাংশ। তারা ‌সচিবালয়ে তিন নম্বর গেট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে ঢুকে পড়েন।

পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তাদের প্রতিনিধিদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে, তার কিছুক্ষণ পরেই আবারও আন্দোলন শুরু করেন আনসার সদস্যরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

সচিবালয়ের সামনে তাদের অবস্থানের কারণে ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের উদ্ধার করতে রাত ৯টার দিকে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

পরে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয় এলাকায় আন্দোলনরত আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে করে দুইপক্ষের ৪০ জনের বেশি আহত হন। একপর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন আনসার সদস্যরা।

জেইউ/কেএ