ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

আকস্মিক বন্যার ধরনই হচ্ছে, মুহূর্তের মধ্যে প্রবল পানির তোড়ে এলাকা ভেসে যায়। আবার তা দ্রুত নেমেও যায়। এতে সাময়িক ক্ষয়ক্ষতি হয়। দ্রুত পানি চলে যাওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে না। কিন্তু এবার দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্তত ১১ জেলায় যে বন্যা হচ্ছে, তাতে পানি দ্রুত নামছে না।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

আকস্মিক বন্যা, তবুও পানি সরতে এত দেরি কেন

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্যা উপদ্রুত এলাকায় গড়ে ১৫ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।

কেন্দ্রটির নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘পানি কমার এই হারকে ধীর থেকে মাঝারি বলা যায়। তবে অন্যান্যবারের আকস্মিক বন্যার তুলনায় এবার পানি কমার হার কম।’

কালবেলা

বিচারপতি মানিকের দখলে ৯০০ কোটি টাকার জমি

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে সমালোচিত হয়েছেন বারবার। বিচারপতির আসনে বসে যখন যাকে খুশি আদালতে ডেকে অপমান-অপদস্থ করা, বিজনেস ক্লাসে বসতে না পেরে বিমানের ভেতর তুলকালাম, রাস্তায় সালাম না দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশকে আদালতে তলব, ২১ জন সিনিয়রকে ডিঙিয়ে পদোন্নতি, সরকারি বাড়িতে থেকে ভাড়া না দেওয়া, লন্ডনে বাড়ি কিনে আয়ের উৎস দেখাতে না পারা এবং সর্বশেষ টকশোতে গিয়ে উপস্থাপিকার সঙ্গে অশোভন আচরণসহ নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুস্থ ও অসহায় সাংবাদিকদের পুনর্বাসনের জন্য ১৯৯৮ সালে জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার (জার) নামে একটি সংস্থাকে ঢাকার বারিধারায় ১০ একর জমি লিজ দেয় সরকার। এরপর ২৭ বছর পার হলেও সাংবাদিকরা জমির দখল পাননি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই ওই জমিতে নজর পড়ে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের।

কালের কণ্ঠ

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ, মৃত্যু ১৮

এবারের বন্যায় ‌১২ জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮টি।

বন্যায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১২ জেলায় মোট ১৮ জন মারা গেছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, নোয়াখালীতে তিনজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন মারা গেছে।

এতে দেশের উত্তর-পূর্ব, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা না থাকায় আজ রবিবার সকাল পর্যন্ত এই উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

আজকের পত্রিকা

বিডিআর বিদ্রোহ: ডিএডি রহিমের মৃত্যুতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের নামে হত্যা মামলা

২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বিডিআরের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহিমের কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক ও সাবেক সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিলখানা বিদ্রোহ মামলার আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

সমকাল

ত্রাণ যাচ্ছে না দুর্গম গ্রামে

বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেটও উধাও। হাসপাতাল, ব্যাংকসহ জরুরি প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় সেবা বন্ধ। চারদিকে পানি থইথই করলেও এক চুমুক বিশুদ্ধ পানির বড্ড অভাব। এক ইঞ্চি জায়গাও বাকি নেই, যেখানে পানির স্রোত নেই। এমন দুঃসময় হয়তো কখনও আসেনি তাদের জীবনে। তবু ভয়াবহ বানের সঙ্গে চার দিন ধরে চলছে যুদ্ধ! ফেনীর পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী এখনও বিচ্ছিন্ন।

কারও সঙ্গে নেই কারোর কথন। বিশেষ করে তিন উপজেলার দুর্গম এলাকার মানুষ কেমন আছেন, তাও সবার কাছে অজানা। আটকা পড়ে আছে লাখ লাখ মানুষ। অনেকে গ্রামে থাকা পরিবারের সদস্যের নাম-ঠিকানা দিয়ে উদ্ধার তৎপরতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দেয়ালে লিখছেন। তবে নৌযান সংকটের কারণে উদ্ধার তৎপরতায় তেমন গতি আসেনি।

বণিক বার্তা

বানোয়াট পরিসংখ্যানের প্রধান পরিকল্পনাকারী লোটাস কামাল

সরকারি পরিসংখ্যান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পরও দেশে আশানুরূপ কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়ায় অর্থনীতির মূল সূচকগুলো হয় প্রশ্নবিদ্ধ। ২০১৪ সালে পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামাল দায়িত্ব নেয়ার পর পরিসংখ্যান বিভ্রাট আরো প্রকট হয়।

মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডাটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে পাঁচ-ছয়জনের একটি সিন্ডিকেট। অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকের তথ্য ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগ ওঠে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও বাড়তে থাকে পরিসংখ্যানগত পার্থক্য। এ প্রবণতা অব্যাহত ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের পরবর্তী সময়েও। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যেই কেবল সাড়ে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বেশি দেখানো হয়েছিল। এসব বানোয়াট পরিসংখ্যানের প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে মনে করা হয় লোটাস কামাল তথা তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামালকে।

দেশ রূপান্তর

কারফিউতে বিপদে ৮১% ইন্টারনেট বন্ধে ৭১

জুলাই মাস উত্তপ্ত ছিল ছাত্র আন্দোলনে। মধ্য জুলাই থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার কারফিউ জারি করে, বন্ধ করে দেয় ইন্টারনেট। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার আগে তার সরকারের এমন জনস্বার্থবিরোধী নানা পদক্ষেপে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে সাধারণ মানুষ।

আওয়ামী লীগ সরকারের ওইসব পদক্ষেপে দেশের মানুষ কী ধরনের ক্ষতিতে পড়েছে, তা নিয়ে গত ২১ আগস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। বাংলাদেশ বিষয়ে করা ডব্লিউএফপির ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গত জুলাই মাসে কারফিউ জারির কারণে ৮১ শতাংশ নিম্ন আয়ের পরিবার চরম বিপাকে পড়তে হয়েছিল।

এছাড়া গোপনীয়তা হরণকারী সংস্থার বিলুপ্তি দাবি; সালমান আনিসুল জিয়াউল দীপু মনি ফের রিমান্ডে; শেখ হাসিনা আর ২৫ দিন ভারতে থাকতে পারবেন; মহাবিপাকে পাঠ্যবই ছাপা—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।