জুমার নামাজে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান খতিবদের
ভারত থেকে আসা ঢল এবং রেকর্ড বৃষ্টিতে ডুবেছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। ভয়াবহ ও আকস্মিক এই বন্যায় ১৫টিরও বেশি জেলায় তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। মানুষ মারা গেলেও কবর দেওয়ার মতো জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুকনো মাটির সন্ধানে ঘুরতে হচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। এমন অবস্থায় বানভাসি ও বন্যাকবলিত মানুষদের পাশে সামর্থ্য অনুযায়ী দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মসজিদের খতিবরা। এক্ষেত্রে অনেক মসজিদে কমিটির পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করার উদ্যোগ।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর অধিকাংশ মসজিদগুলোতেই খতিবরা জুমার নামাজের আগের খুতবায় বর্তমান পরিস্থিতি ও বন্যার্তদের ভয়াবহ কষ্টের কথা তুলে ধরেন।
বিজ্ঞাপন
জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো মুসলমানদের বড় দায়িত্ব এমন কথাও বলেন তারা। আর নামাজের পর এই বিপদ থেকে পরিত্রাণ চেয়ে আল্লাহর কাছে করা হয় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত। এ সময় অনেক মুসল্লিরাই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিভিন্ন এলাকায় জুমার নামাজ আদায় করা ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদকরা জানান, উত্তরা, ধানমন্ডি, আজিমপুর, পুরান ঢাকা, বাড্ডা, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ীসহ অধিকাংশ এলাকার মসজিদেই খতিবরা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এমন আহবানে সাড়া দিয়ে অনেক মুসল্লিই নামাজ শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা পৌঁছে দিয়েছেন।
অপরদিকে, এরইমধ্যে বন্যার্ত এসব মানুষকে সহযোগিতায় নিজেদের বেতনের একদিনের অর্থ প্রদান করেছেন অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা পোস্টের কর্মীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে ঢাকা পোস্টের কর্মীরা বন্যার্তদের জন্য একদিনের বেতন দিয়ে ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নেন।
ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার জানান, সারাদেশে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ঢাকা পোস্টের সকল কর্মী তাদের একদিনের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা পোস্ট একটি টিম গঠন করেছে। টিমের সদস্যরা শুক্রবার থেকে ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন বন্যা কবলিত স্থানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ত্রাণ বিতরণ করবেন।
আরএইচটি/এমএসএ