বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বন্যার কারণে মানুষের মনে ব্যাপক উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একই সঙ্গে বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলের নেতাকর্মীদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান রিজভী।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, উজানের পানিতে দেশের পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৯ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার জায়গা—জমি, শত শত গ্রাম ও সড়ক তলিয়ে গেছে। জনজীবন বিপর্যস্ত, লাখ-লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রায় দুই লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গবাদি পশু, ফসল ইত্যাদি পানিতে ভেসে গেছে।

ফেনী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম মূলত পানির নিচে বলে উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, শুকনো খাবার, খাবার পানি ও প্রয়োজনীয় ঔষধের অভাব এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন মানুষের জীবনকে ভয়াবহ বিপন্ন করে তুলছে। জেলা শহরের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বন্যায় দুইজনের মৃত্যুসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩০ লাখের কাছাকাছি মানুষ।

রিজভী বলেন, প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে অধিকাংশ শহরের নিম্নাঞ্চল সম্পূর্ণরূপে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ আরও বেশি জোরদার করতে হবে। এবারের বন্যা আড়াই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ।

অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহে প্রতিবেশী দেশ নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী পানি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থকে বিপন্ন করছে বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, কেন জানি ভারত বাংলাদেশের মানুষ, তাদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য জীবন—যাপনের প্রতি উদাসীন। বাংলাদেশের মানুষের বাঁচা—মরাকে তারা কখনোই আমলে নেয় না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ডুম্বুর বাঁধের গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশের মানুষ মনে করে। বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারত কখনোই ন্যায়নীতির নির্দেশ গ্রাহ্য করেনি।

এএইচআর/এমজে