টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব উপজেলার ৩১ ইউনিয়নের অন্তত লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। 

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ফাহমুন নবী জানান, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় এরইমধ্যে ২৩৯ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ৭২৫ জন লোক আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। আশ্রিত লোকজনের মধ্যে ৬১৭ পুরুষ, ৬২০ নারী, ৪৬৩ শিশু ও ২৫ জন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। জেলায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রস্তুত করা হয়েছে ১৩৭ মেডিকেল টিম।

বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় এরইমধ্যে ৫০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ফটিকছড়িতে ২০ টন, মিরসরাইয়ে ২০ টন এবং সীতাকুণ্ডে ১০ টন ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। 

চট্টগ্রামে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৪১ দশমিক ৮ মিলিমিটার। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে তিন ঘণ্টায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, অতি ভারী বৃষ্টিতে নগরের নগরের নিউমার্কেট, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, মুরাদপুর, শোলকবহর, ২ নম্বর গেট, বাকলিয়া ও আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার কোনো কোনো সড়কে হাঁটু থেকে কোমর পরিমাণ পানি দেখা যায়।

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের ৬ বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা বার্তায় জানানো হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ২২ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

এমআর/জেডএস