বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন, ২০০৩ অনুযায়ী কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ, যুগোপযোগী ও দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ও কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছেন প্রতিষ্ঠানটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

গত ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) তালাবদ্ধ ছিল কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কক্ষ।

এছাড়া, কমিশনের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে বিইআরসির কর্মীরা ধর্মঘট পালন করেন। যদিও কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা আজ অফিসে আসেননি।

বিগত সরকারের মদদপুষ্ট অযোগ্য ও ‘স্বৈরাচার চেয়ারম্যান’ এবং অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ বাতিল এবং আইনানুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিশন পুনর্গঠনসহ ৪ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অসহযোগ ও কর্মবিরতি চলবে।

তাদের দাবিসমূহ হলো :

১। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ধারা ৭ লঙ্ঘন করে বিগত সরকারের মদদপুষ্ট অযোগ্য ও স্বৈরাচার চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করে আইনানুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণের সমন্বয়ে কমিশন পুনর্গঠনপূর্বক দক্ষ ও শক্তিশালী করতে হবে.

২। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ লঙ্ঘন করে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের ট্যারিফ বিগত সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত বাতিল করত: আইনানুযায়ী এনার্জির (বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থ) ট্যারিফ নির্ধারণের কার্যক্রম স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের শুনানি/মতামতের ভিত্তিতে বিইআরসির মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে।

৩। ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের সুশাসন নিশ্চিত করাসহ রেগুলেটরি কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে কমিশনের জনবল কাঠামো যুগোপযোগী ও সংস্কার করতে হবে।

৪। কমিশনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি বঞ্চিত করে অন্য সংস্থা/দপ্তর হতে প্রেষণ/সংযুক্তিতে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।

ওএফএ/কেএ