ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন করতে একটা তহবিল সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নারী নেতাদের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে যত মানুষ আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে একটা উদ্যোগ রয়েছে। এটা কার্যকর হচ্ছে, আমরা একটা ফাউন্ডেশন সৃষ্টি করব। যারা সাহায্য করতে আগ্রহী তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে এই কাজগুলো করবো। চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসহ সব কিছু করা হবে। যেহেতু ফাউন্ডেশন করতে সময় লাগছে, তাই নারীদের পক্ষ থেকে একটা দাবি উঠেছে যে, অন্তর্বতী একটা কিছুর ব্যবস্থা করার। যাদের চিকিৎসা টাকার প্রয়োজন আছে, যাতে তাড়াতাড়ি করে টাকা পেতে পারে।

ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন করতে একটা তহবিল সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নারী নেতাদের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে যত মানুষ আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে একটা উদ্যোগ রয়েছে। এটা কার্যকর হচ্ছে, আমরা একটা ফাউন্ডেশন সৃষ্টি করব। যারা সাহায্য করতে আগ্রহী তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে এই কাজগুলো করবো। চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসহ সব কিছু করা হবে। যেহেতু ফাউন্ডেশন করতে সময় লাগছে, তাই নারীদের পক্ষ থেকে একটা দাবি উঠেছে যে, অন্তর্বর্তী একটা কিছুর ব্যবস্থা করার। যাদের চিকিৎসা টাকার প্রয়োজন আছে, যাতে তাড়াতাড়ি করে টাকা পেতে পারে।

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে এ বৈঠক চলে এক ঘণ্টারও বেশি সময়। দুপুর ১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার গেটে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি। বৈঠকে ৩০ জনের মতো নারী নেত্রী উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নারী সমন্বয়কও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সরকারের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, ফরিদা আখতার ও শারমীন এস মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, চিকিৎসা ও পুর্নবাসন সব কিছু করা হবে। যেহেতু ফাউন্ডেশন করতে সময় লাগছে, তাই একটা দাবি উঠেছে অন্তর্বর্তীকালীন একটা কিছুর ব্যবস্থা করার। যাদের চিকিৎসায় টাকার প্রয়োজন আছে, যাতে তাড়াতাড়ি করে টাকা পেতে পারে।

নারী নেত্রীদের মতামত নেওয়ার জন্য বৈঠক হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তাদের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কারের যে অ্যাজেন্ডা আছে তা ঠিক করব। প্রধান উপদেষ্টা নারী নেত্রীদের এক সঙ্গে বসার অনুরোধ করেছেন। সেখানে সরকারের কাজ করতে সুবিধা হয় এমন কিছু প্রস্তাব দেওয়ার অনুরোধ করেন। অর্ধসমাপ্ত কাজ করে লাভ নেই। তাই কিছু অগ্রাধিকার সুপারিশ করার জন্য যাতে বর্তমান সরকার করে দিয়ে না যায়, যা দলীয় সরকারের অধীনে করতে কষ্ট হয়ে যাবে।

নারীদের বিভিন্ন বিষয়ে বিক্ষিপ্তভাবে কাজ না করে নারী অধিকার কমিশন (ওমেন্স রাইট) গঠনের প্রস্তাব বৈঠকে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা। 

তিনি বলেন, তথ্য অধিকার কমিশন, মানবাধিকার কমিশন রয়েছে। যেগুলো দলীয় সরকারের সময় চাপে পড়ে দায়িত্ব প্রতিপালন করতে পারেনি। সেখানে স্বাধীনতা নিশ্চিতে করণীয় আলোচনা হয়েছে।

মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিয়ে কথা হয়েছে উল্লেখ করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মন্ত্রণালয়টি আসলে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। সেটা ছাড়াও তাদের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হওয়া উচিত ৪৫টি মন্ত্রণালয়ের তদারকির ভূমিকা। সেই কাজটা তারা ঠিক মত করছে না।

নারীর প্রতি বৈষম্য নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক অনেক আইন আন্তর্জাতিক ও জাতীয়ভাবে আছে। সেগুলোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া। যেমন উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে সমান অধিকারের জন্য অবস্থান নেওয়া। পারিবারিক, অভিভাবকত্বে ও নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে যে আন্তর্জাতিক আইন আছে, সেখানে বৈষম্যকে অ্যাড্রেস করেছে। সেখানে বাংলাদেশের কোথাও কোথাও রিজারভেশন আছে। সেটা উউথড্র করার দাবি এসেছে। সিডর রিজারভেশন উউথড্র করার পাশাপাশি আইএলও ১৯০ ও আরও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সমর্থন দিয়ে দেওয়া।

নারীর প্রতি সহিংসতা করা হলেও বিচার হয় না এ মানসিকতা থেকে সরে আসতে হলে নারী ক্ষমতায়ন করলে হবে না সমাজকে নারীবান্ধব করার পরিবেশ আনতে হবে বলে বৈঠকে মতামত এসেছে বলে জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, কল্পনা চাকমা, তনু, নুসরাতের হারিয়ে যাওয়া কিংবা নিহত হয়ে যাওয়ার কারণটা বের করা। দায়ী ব্যক্তিরা যতই শক্তিশালী হোক তাদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য বৈঠকের সবাই দাবি জানিয়েছেন।

আদালতের সরকার বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে করার পরামর্শ বৈঠকে এসেছে বলে জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, যে ভুলগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান, সেই সংস্কার করতে গিয়ে পুরানো ভুলগুলো পুনরায় যাতে না হয়। শিল্পকলা একাডেমিতে শিল্পকলা বুঝেন এমন লোকদের নিয়োগ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কুকি চীন ইস্যুতে বম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন হচ্ছে বলে দাবি করে তা বন্ধের আহ্বান করা হয়েছে।

দলীয় সরকার যাতে এনজিও ব্যুরোর মাধ্যমে হয়রানির শিকার না হতে হয় সেই বিষয়ে বৈঠকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এমএসআই/এসএম