জলাবদ্ধতার কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না চট্টগ্রামবাসী। বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় নগরীর নিম্নাঞ্চল। গতকাল রাতের বৃষ্টিতেও তলিয়ে গেছে শহরের বিভিন্ন এলাকা। কোনো কোনো এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। তবুও মিলছে না সুফল। 

চট্টগ্রামের আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আজ (সোমবার) সকাল ৯টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ৯টার পর থেকে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি পাহাড় ধসের আশঙ্কাও রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টিপাতের কারণে নগরের মোহাম্মদপুর, মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, মুরাদপুর, শোলকবহর, ২ নম্বর গেট, বাকলিয়া ও আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার কোনো কোনো সড়কে কোমর সমান পানি জমেছে। 

বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা এস এম গিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাসা বহদ্দারহাট। বহদ্দারহাট থেকে একে খান হয়ে যেতে হয় অফিসে। বৃষ্টি হলেই বাসার আশপাশ এলাকার সড়ক ডুবে যায়। আজকেও একই অবস্থা। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে অফিসে আসতে হয়েছে।’

চকবাজার এলাকার বাসিন্দা মনির উদ্দিন বলেন, ‘জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে কখন রেহাই পাবো আল্লাহ ভালো জানেন। শুনেছি হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। প্রত্যেক বছর বলা হয়, আগামী বছর পানি উঠবে না। কিন্তু যে লাউ, সে কদু।’ 

রাহাত্তারপুল এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হুদা সিদ্দিকী বলেম, ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে হাঁটু পানিতে। আমরা এই অবস্থার উন্নতি চাই।

জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দুটি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি প্রকল্পের আওতায় ১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকার কাজ চলছে। এই কাজ চলছে প্রায় ৫ বছর ধরে। তবুও মিলছে না সুফল।

আরএমএন/এনএফ