ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের তেজগাঁও থেকে এফডিসি-হাতিরঝিলমুখি অংশের একটি পিলার গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের সময়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এই অংশটি বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে উত্তরা-কুড়িল-বনানী থেকে আসা গাড়ির চাপ বেড়েছে ফার্মগেট অংশে।

এক্সপ্রেসওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্ট তেজগাঁওয়ের একটি কর্মচারী ক্লাবে অগ্নিকাণ্ড ছড়িয়ে পড়লে এক্সপ্রেসওয়ের ৩৭৭ নম্বর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পিলারের ঝুঁকি বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ আপাতত র‍্যাম্পটি যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএম সাখাওয়াত আখতার জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে পিলারটির গুরুতর ক্ষতি করেছে এবং এর কাঠামোগত সেফটি অ্যাসেসমেন্ট করা হচ্ছে। পিলারটির অ্যাসেসমেন্ট শেষ না হওয়া এবং এটি নিরাপদ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত র‍্যাম্পে যানবাহন চলাচল ঠিক হবে না। এটি বর্তমানে চীনা বিশেষজ্ঞরা অ্যাসেসমেন্ট করছে।

এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গত ১৮ জুলাই রাতে বনানী ও ১৯ জুলাই বিকেলে মহাখালী টোলঘরে আগুন দেওয়া হয়। সেখানে শত শত লোক টোল ঘরে হামলা চালায়। একদল শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে যায়। কেউ কম্পিউটার, ক্যামেরা নিয়ে যায়। আরেক দল আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে টোল বুথ, ছাউনি, সিস্টেম সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত টোলপ্লাজাগুলো বাদ দিয়ে ২৪ দিন বন্ধ থাকার পর গত ১১ আগস্ট থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় শুরু হয়েছে। আর গত ১৫ আগস্ট থেকে বানানী টোল প্লাজার কার্যক্রম ম্যানুয়ালি শুরু হয়েছে। মহাখালী টোল প্লাজা এখনও বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ আশা করেছে, এটি দ্রুতই পুনরায় চালু করতে পারবে।

/এমএইচএন/এমএ