কোটাবিরোধী আন্দোলন ও স্বৈরাচার সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর লাখ লাখ টাকা বিলের সমালোচনা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একসঙ্গে যেসব বেসরকারি হাসপাতাল লাখ লাখ টাকা নিয়েছে, তাদের থেকে মেডিসিন ফি রেখে বাকিটা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (১৭ আগস্ট) কুর্মিটোলা হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অনুরোধ জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে এখন থেকে সরকারি বেসরকারি কোথাও সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা নিতে টাকা লাগবে না। কিন্তু এরইমধ্যে আমরা দেখেছি বেশকিছু বেসরকারি হাসপাতাল শিক্ষার্থীদের থেকে চিকিৎসার নামে লাখ লাখ টাকা বিল করেছে। তাই আমরা চাইব শুধু মেডিসিন ফি রেখে বাকি টাকাগুলো শিক্ষার্থীদের আবারও ফেরত দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এ সময় উন্নয়নের নামে হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আর হাসপাতালে চলতে দেয়া হবে না। রাজনৈতিক বলয় ও লালফিতার দৌরাত্ম্য শেষ করা হবে।

ঢাকা মেডিকেলের অবস্থা ফিলিস্তিনের রাফা ক্যাম্পের মতো বলেও মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক। তিনি জানান, ৯০ দিনের মধ্যে জনমুখী স্বাস্থ্যখাত গড়ে তোলা সম্ভব বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আশ্বাস দিয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, স্পেশালাইজড কেয়ার ইউনিটের আওতায় আন্দোলনে আহতরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও বিনা খরচে আহতরা চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, যারা সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা বা বিশেষ সুবিধা চাইবে তাদের ধরে পুলিশে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

টিআই/জেডএস