ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

শনিবার (১৭ আগস্ট) এবি পার্টির একটি প্রতিনিধি দল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসার খোঁজ নিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় অর্থোপেডিক্স ইনস্টিটিউটে (পঙ্গু হাসপাতাল) যান। 

হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। 

প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, বিএম নাজমুল হক, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খান, আনোয়ার ফারুক, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, যুগ্ম সদস্য সচিব সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব কেফায়েত হোসেন তানভীরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। 

ব্রিফিংয়ে মঞ্জু বলেন, আহতদের অবস্থা আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি খারাপ। হাসপাতালে হাত, পা, বুকে গুলিবিদ্ধদের কাতর আহাজারিতে চোখের পানি আটকে রাখা কঠিন। চিকিৎসকরা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজে এসে রোগীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন, তাদের চিকিৎসার সার্বিক দায়ভার গ্রহণ করার কথা বলেছেন।

মঞ্জু বলেন, আহত পঙ্গুরা নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির নায়ক, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু আহতদের সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। 

তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, রাস্তায় ট্রাফিক কার্যক্রম পরিচালনা, রাস্তা পরিষ্কার, বিপ্লবের গ্রাফিতি অংকনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো হাসপাতালে যেসকল লাশ ও আহতরা আছেন তাদের প্রতি মানবিক দায়িত্ব পালন করা। তিনি আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম তদারকির জন্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক মনিটরিং সেল গঠনের জন্য ছাত্রদের প্রতি পরামর্শ দেন। 

ডা. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, আমরা আন্দোলনের শুরু থেকেই প্রতিটা হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করেছি। আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সংরক্ষিত বেওয়ারিশ লাশগুলো সনাক্তকরণে সংবাদ কর্মী ভাইবোনদের সহায়তায় তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়েছি।

জেইউ/এমএসএ