পুলিশকে মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশকে মানুষের আস্থা, বিশ্বাস এবং ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। এগুলো অর্জন করতে পারলে পুলিশের সংখ্যা লাগবে না, মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এ দেশে যে কোনো অপরাধ দমন করা যাবে। সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।
রোববার (৩ জানুয়ারি) রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ছিল না। আমরা জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। জনগণ এ স্বাধীনতার সুফল পাবে। উন্নত জীবন পাবে। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের পুলিশেরও ভূমিকা রয়েছে। আজকের নবীণ কর্মকর্তাদের সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনী পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক, অধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে। আমরা গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষের জীবনে শান্তি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। মানি লন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম, সামাজিক অপরাধ ও পারিবারিক অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশ অনবদ্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এটাকে আরও দক্ষতার সঙ্গে দমন করতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ যথেষ্ঠ শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে এবং অনেকে জীবন পর্যন্ত দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, মানুষের সেবা দেওয়া, মানুষের জীবন-মান উন্নত করা এটাই হচ্ছে আমাদের সব থেকে প্রয়োজন। সেদিকে আমাদের পুলিশ বাহিনী যথেষ্ঠ দক্ষতা অর্জন করেছে। আমরা বিদেশে পাঠিয়ে পুলিশের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নানা ধরনের অপরাধও কিন্তু হয়, সেগুলোও আমাদের দমন করতে হবে। এখন যে ফেসবুক আছে, বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস আছে সেগুলির মাধ্যমে অনেক ধরনের অপরাধ- বিশেষ করে কিশোর বা উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। সেখান থেকে তাদের বের করে নিয়ে এসে সুস্থ জীবন যেন ফিরে আসে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণভাবে গুজব রটানো বা এ ধরনের কাজ যাতে করতে না পারে সে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
এইউএ/এসএম