শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়া গণপূর্তের সেই নির্বাহী প্রকৌশলীর হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

মামলায় তার বিরুদ্ধে ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ১০ হাজার ডলার ও ৪৮.২৮ ভরি স্বর্ণালংকার অবৈধভাবে অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. রাসেল রনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১০ আগস্ট দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই বিষয়ে মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সরকারি কর্মচারী হয়ে অপরাধজনক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ১০ হাজার ইউএস ডলার এবং ৪৮.২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে অর্জিত সম্পদ ভোগ দখলে রেখে আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করার চেষ্টা করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে। 

গত ৮ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল নগরীর চৌমাথা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার, মার্কিন ডলার ও কোটি কোটি টাকার সম্পদের নথিপত্রসহ তাকে আটক করেছিলেন ছাত্ররা। তিনি পটুয়াখালী জেলায় কর্মরত ছিলেন। 

সূত্র জানায়, বরিশালে সিঅ্যান্ডবি রোডের সড়ক থেকে প্রিমিও ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়িটি থামানো হয়। ঢাকা মেট্রো-গ ৩৫-৪৬৬৪ নম্বরের গাড়িটি তল্লাশি করা হলে গাড়িতে থাকা ব্যাগভর্তি টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। পরে সেটি আটক রেখে শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে খবর দেওয়া হলে ওই দিন সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তল্লাশি করে ১২ লাখ টাকা মূল্যমানের ইউএস ডলার এবং নগদ ২৭ লাখ টাকা এবং প্রায় ১ কেজি স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। এছাড়া বেশ কিছু ব্ল্যাংক চেক ও প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার সম্পদের কাগজপত্র পাওয়া যায়।

আরএম/এসকেডি