১৫ আগস্ট শোক দিবস ও সরকারি ছুটি যেভাবে চালু হয়েছিল
একদিন পরই ১৫ আগস্ট। গত ১৬ বছর ধরে একটানা দিনটিকে সারা দেশে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ দিনকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ত্যাগ করে পালান আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। এরপরই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে— ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি বহাল থাকবে কি না? এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত দেখা যায়।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) শোক দিবস ও সরকারি ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানিয়েছিল, ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল হতে পারে। এজন্য প্রজ্ঞাপনও রেডি (প্রস্তুত) করে রাখা হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল করতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন
১৫ আগস্ট শোক দিবস ও সরকারি ছুটি কীভাবে এলো?
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন তৎকালীন আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ও তার স্ত্রী-পরিবারসহ প্রায় ১৬ জন নিহত হন।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর দীর্ঘ সময় পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সেই বছরই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু ২০০২ সালে ক্ষমতায় এসে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকার।
এর ৬ বছর পর ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ই অগাস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই সরকারে স্থান হয় ১৬ উপদেষ্টার। এরপর থেকে সরকারি বিভিন্ন সেক্টরের সংস্কারে কাজ শুরু করে নতুন সরকার।
এমজে