সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।   

মাইনুল হাসান আরও জানান, নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় আজ বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আনিসুল হকই প্রথম মন্ত্রী যিনি গ্রেপ্তার হলেন। অন্যদিকে সালমান এফ রহমানও পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদায় শেখ হাসিনার উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।      

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর পরপরই শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা আড়ালে চলে যান। সালমান এফ রহমানের আজ গ্রেপ্তার হওয়ার খবর এলেও ভারতীয় গণমাধ্যমে এর আগে দাবি করা হয়েছিল তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গেই দেশ ছাড়েন।

ধরা পড়ার পর সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সংশ্লিষ্ট সূত্র ছবির সত্যতা নিশ্চিত করেছে / ঢাকা পোস্ট

আইনজীবী আনিসুল হক ২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা) থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওইবারই তাকে আইনমন্ত্রী করা হয়। এরপর থেকে তিনি আইনমন্ত্রীর পদে ছিলেন।

সালমান এফ রহমান বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সালমান এফ রহমান ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হন। পরে তাকে নিজের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ৫ শতাধিক প্রাণহানির ঘটনায় শেখ হাসিনার বিচার চেয়ে আসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজ একটি হত্যা মামলাও দায়ের হয়েছে। 

শেখ হাসিনা ও সাবেক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।

শেখ হাসিনা ভারতে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ই মূলত আওয়ামী লীগের মুখপাত্রের ভূমিকায় রয়েছেন। সেখান থেকে বার্তাসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যখন বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে তখন তিনি ফিরে আসবেন। যদিও জয় এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, হাসিনা আর কখনো দেশে ফিরবেন না।  

জেইউ/এনএফ