ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল নেওয়া শুরুর প্রথম ৯ ঘণ্টায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার টোল আদায় করেছে সেতু বিভাগ। গতকাল ১১ আগস্ট বিকেল ৩টা থেকে আবারও কর্তৃপক্ষ টোল আদায় শুরু করে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গত ১৮ জুলাই রাতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও ১৯ জুলাই বিকেলে মহাখালী টোলঘরে আগুন দেওয়া হয়। এরপর থেকে বন্ধ ছিল এক্সপ্রেসওয়েটি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে যানচলাচল শুরু হয় ঢাকা এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়েতে। তবে এই সময়ে কোনো যানবাহন থেকে টোল নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ১১ আগস্ট বিকেল ৩টা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হয়েছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল রিপোর্টে দেখা যায়, ১১ আগস্ট দুপুর ৩টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেছে ১৭ হাজার ৮৫৯টি গাড়ি। এসব গাড়ি থেকে মোট টোল আদায় হয়েছে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

এর আগে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) হাসিব হাসান খান জানান, ১১ আগস্ট বিকেল ৩টা থেকে স্বাভাবিক টোল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যে দুটো টোলঘর পুড়েছে, সেগুলো আপাতত বন্ধই থাকবে।

এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গত ১৮ জুলাই রাতে বনানী ও ১৯ জুলাই বিকেলে মহাখালী টোলঘরে আগুন দেওয়া হয়। সেখানে শত শত লোক টোলঘরে হামলা চালায়। একদল শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নিয়ে যায়। কেউ কম্পিউটার, ক্যামেরা নিয়ে যায়। আরেক দল আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে টোল বুথ, ছাউনি, সিস্টেম সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

পরে কারফিউ পুরোপুরি তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এটির নির্মাণ ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড। আগুনে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিকেলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু করে। এই বাহনগুলোর এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে বিধিনিষেধ রয়েছে। অনেকে সেদিন হেঁটেও ঘুরেছেন এক্সপ্রেসওয়েতে।

তবে টোল না থাকলেও শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমের উদ্যোগে দুদিনের মধ্যে রিকশা, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়। এই সময় ব্যক্তিগত গাড়ি, বাস, ট্রাক টোল ছাড়া চলাচল করে। ১১ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত টোল ছাড়াই এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল করে। তবে বিকেল থেকে আগের মতো নির্ধারিত টোল দিয়ে চলতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।

এমএইচএন/এমজে