প্রবাসীদের মানবাধিকার রক্ষা ও তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ৯ দফা দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশন।

সোমবার (১২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত ‌‘হাসিনা কর্তৃক গুম, খুন, গণহত্যার প্রতিবাদে’ আলোচনা সভায় সংগঠনটি এ দাবি উত্থাপন করে।

সভায় আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি এইচ এম মনিরুজ্জামান ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, হাসিনা কর্তৃক ২০২৪ সালের গণহত্যা ৭১ কেও হার মানিয়েছে। ওরা কোরআনের পাখি আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাইদিসহ অসংখ্য-অগণিত মানুষকে হত্যা করেছে।

১৬ বছরে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যারা গুম খুন নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করে সম্মানী ভাতা ও মৃতের পরিবারকে চাকরির ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি। 

মনিরুজ্জামান বলেন, দেশে এখনও বিভিন্ন চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। আবার যদি দেশে কিছু হয়ে যায় তাহলে আমরা সবাই আবু সাঈদ হয়ে যাব।

‘বিগত দিনে খুনি হাসিনা হেফাজত, বিডিআর, নিরস্ত্র ছাত্র হত্যা ও খেয়াল খুশি মতো বিচারের নামে নিরীহ মানুষকে ফাঁসি দিয়ে এবং আয়নাঘর বানিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মেরেছে। তাই হাসিনাকে খুনের নির্দেশ দাতা হিসেবে আইনের মাধ্যমে তার ফাঁসির দিতে হবে।’

সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুরা সবাই আমাদের নিকট আমানত স্বরূপ। তাদেরকে দেখে শুনে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। যেখানেই মানুষ বিপন্ন বা নির্যাতিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেখানেই আপনারা স্বেচ্ছায় পাহারার ব্যবস্থা করবেন। কোমলমতি ছাত্রসহ যারা অনেক রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে দেশটাকে স্বাধীন করেছে জাতি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ সময় তিনি দুবাইতে আটকৃত প্রবাসীদের মুক্তির দাবি জানান ও অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের নিরাপত্তাও সুরক্ষার দাবি জানান।

আলোচনা সভায় প্রবাসীদের পক্ষে ৯ দফা তুলে ধরেন এইচ এম মনিরুজ্জামান। তা হলো— 

১. দেশের জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে ২ কোটি প্রবাসীদের পক্ষে সংসদে কথা বলার জন্য প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্য রাখতে হবে, তারা যেন সংসদে তাৎক্ষণিকভাবে প্রবাসীদের সমস্যাগুলো উত্থাপন এবং সমাধান করতে পারে।

২. প্রবাসে মৃত্যুবরণ করা প্রত্যেক প্রবাসীর মৃতদেহ বিনা খরচে দ্রুত দেশে আনতে হবে।

 ৩. প্রবাসীদের এয়ারপোর্টে ভিআইপি সম্মান দিতে হবে।

 ৪. সিন্ডিকেট ভেঙে নতুন ভিসার দাম কমাতে হবে এবং বিমান টিকিটের দাম কমিয়ে আনতে হবে।

৫. প্রবাসীর পরিবারের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং প্রবাসে থাকা ব্যক্তিদের জমিজমা দখল বন্ধ করতে হবে।

৬. প্রবাসীরা ১২ বৎসর পর অবসরে গেলে তাদের অবসর ভাতা দিতে হবে।

৭. সব প্রবাসীকে প্রবাসী স্মার্ট কার্ড করে দিতে হবে।

৮. প্রবাসীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করতে হবে।

৯. শর্তহীনভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রবাসীদের লোন দিতে হবে।

ওএফএ/এমএ