কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে ৬ দিন ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউটের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

সোমবার (১২ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন আজকে পাওয়া যাবে। এরপর যদি পুনরায় তদন্ত প্রয়োজন হয় তাহলে সেটিও আমরা করব। এই প্রক্রিয়ায় সরকারের লোক, মন্ত্রী বা অন্য যেকোনো সংস্থার লোক জড়িত থাকলে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তথ্য প্রবাহের অবাধ ব্যবহার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করার নিশ্চয়তা মানুষের মানবাধিকারের বিষয়। তারা এটি বন্ধ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে শতশত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই যারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই নতুন উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই তরুণরা নিজ উদ্যোগে স্টার্ট-আপ তৈরি করছে। একটি দক্ষ জনশক্তি আমাদের আইটি সেক্টরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের শক্তির ওপরই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি নির্ভর করছে। সেজন্য এই সেক্টরে কোনও ধরনের দুর্নীতি বা অবহেলার সুযোগ নেই। দেশ গঠনের বিপ্লবে তারুণ্যকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।

এর আগে রোববার (১১ আগস্ট) ইন্টারনেটে বন্ধের ঘটনা তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেন নাহিদ ইসলাম।

সচিবালয়ে তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ বের করতে তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ ইন্টারনেট ব্যবহার ডিজিটাল অধিকারে পরিণত হয়েছে। এটি একটি মানবাধিকারের বিষয়। বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই ইন্টারনেট বন্ধ বা সীমিত করতে হবে। যাতে কারও মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকে। কথায় কথায় ইন্টারনেট বন্ধ করা চলবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে মো. নাহিদ ইসলাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।

আরএইচটি/পিএইচ