অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই মুহূর্তে দ্বিপক্ষীয় সফরে কোনো দেশে যাবেন না। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত তার দ্বিপক্ষীয় সফর না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

রোববার (১১ আগস্ট) পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর কোন দেশ হতে যাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো দ্বিপক্ষীয় সফর এই মুহূর্তে পরিকল্পনার মধ্যে নেই। বহুপক্ষীয় যেগুলো হবে এবং যেখানে যাওয়া প্রয়োজন হবে সেখানে যাবেন। দ্বিপক্ষীয় আরও পরে, বেশ পরে আমরা ঠিক করবো।

তিনি বলেন, অন্তত পরবর্তী মাস পর্যন্ত হবে না। সেপ্টেম্বরে তো অবশ্যই না, অক্টোবর নিয়েও আমার সন্দেহ রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সফর তো হবে, দেশ স্থিতিশীল অবস্থায় এলে।

সেভেন সিস্টার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের ব্যাখ্যা

সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বাংলাদেশ অস্থিতিশীল করা হলে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য এবং মিয়ানমার নিরাপদ থাকবে না। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটির ব্যাখ্যার তেমন কিছু নেই। আসলে উনি যেটি বলতে চেয়েছেন, আমাদের এখানে যদি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে সেটির স্পিলওভার প্রভাব পড়বে আশপাশে। পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় এটি সত্যি এবং আমাদের এখানে আরও সত্য।

তৌহিদ হোসেন বলেন, কারণ সেভেন সিস্টারের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ অনেক বেশি। ভারতও এটি বোঝে, সেভেন সিস্টারের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা প্রয়োজন।

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বেশ কিছু কথা এসেছে। আমি যদি বলি কোনও কিছু হয়নি, সেটি বিশ্বাসযোগ্য হবে না। বিষয়টি হলো, কিছু সহিংস ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংঘাতের কারণে কাউকে আঘাত করা এটি কোনও অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না। সংখ্যালঘুদের বিশেষ সুরক্ষা দেওয়ার দরকার। পত্রিকায় আমরা দেখেছি, তাদের সুরক্ষার জন্য ধর্মীয় দলগুলো তাদের লোক পাঠিয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে সব তথ্য চেয়েছি কোথায় কী ঘটেছে এবং কিছু পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে প্রত্যেকটা সংঘাত এবং যে অনাচার হয়েছে এবং সেগুলো যারা করেছে, কোনও দলমত না দেখে তাদের বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করা।

দুএকদিনের মধ্যে সংখ্যালঘু বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বসবেন বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এনআই/এমএসএ