শিক্ষার্থীদের হাতে ধরাপড়া গণপূর্তের সেই নির্বাহী প্রকৌশলীর হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

অনুমোদিত মামলায় তার বিরুদ্ধে ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা, এক লাখ ডলার ও ৪৮.২৮ ভরি স্বর্ণালংকার অবৈধভাবে অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

রোববার (১০ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই বিষয়ে মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম। 

গত ৮ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল নগরীর চৌমাথা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার, মার্কিন ডলার ও কোটি কোটি টাকার সম্পদের নথিপত্রসহ তাকে আটক করেছিলেন ছাত্ররা। তিনি পটুয়াখালী জেলায় কর্মরত ছিলেন। 

সূত্র জানায়, বরিশালে  সিএন্ডবি রোডের সড়ক থেকে প্রিমিও ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়িটি থামানো হয়। ঢাকা মেট্রো-গ ৩৫-৪৬৬৪ নম্বরের গাড়িটি তল্লাশি করা হলে গাড়িতে থাকা ব্যাগভর্তি টাকা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। পরে সেটি আটক রেখে শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে খবর দেওয়া হলে ওই দিন সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।  শেখানো তল্লাশি করে ১২ লাখ টাকা মূল্যমানের ইউএস ডলার এবং নগদ ২৭ লাখ টাকা এবং প্রায় ১ কেজি স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। এছাড়া বেশ কিছু ব্লাংক চেক ও প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার সম্পদের কাগজপত্র পাওয়া গেছে।

এ সময় গাড়ির চালক আলতাফ হোসেন বলেন, বিকেল ৩টায় হারুন অর রশিদ সাহেবকে পটুয়াখালী সরকারি বাসভবন থেকে নিয়ে আসি। বরিশাল নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডের চৌমাথায় আসলে শিক্ষার্থীর আটকে দেয়। গাড়িটি ভাড়ায় চালিত একটি প্রাইভেটকার। তাকে কুষ্টিয়া সদরের কুষ্টিয়া আবাসিক এলাকার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। এর আগেও তাকে কয়েকবার কুষ্টিয়ায় নিয়ে গেছি। 

অন্যদিকে গাড়িতে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ সে সময়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাগে যে টাকা রয়েছে তা আমার বৈধ উপায়ে উপার্জিত। বাবা-মা অসুস্থ। তাদের চিকিৎসা করানোর জন্য ওই অর্থ নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।

আরএম/জেডএস