খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার আবেদন
এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, হয়ে যাবে : আইনমন্ত্রী
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে যে লিখিত আবেদন করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার (৭ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আজকে তো জুমাতুল বিদা। হয়ে যাবে (সিদ্ধান্ত)।’
বিজ্ঞাপন
এ সিদ্ধান্ত কবে নাগাদ হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরই হবে।’
এর আগে, বুধবার (৫ মে) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় আবেদনটি দিয়ে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। এরপর সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
সেদিন রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চিকিৎসকরা অভিমত দিয়েছেন তাকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। যদিও আমরা চিকিৎসকদের কাছে শুনিনি।’
আবেদনটি ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আইনে যে পর্যায়ে আছে, কীভাবে কী করা যেতে পারে সেজন্য আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ করে দিয়েছেন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে অত্যন্ত মানবিক।’
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও আট জন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
গত সোমবার সকালের দিকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
এসএইচআর/এফআর