আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। তবে শুক্রবার (৯ আগস্ট) নগরের মাদারবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে অবস্থানের খবর ছড়িয়ে পড়ে। 

এদিন বিকেলে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। প্রথমে লতিফ সমর্থকরা বিক্ষুব্ধ জনতাকে সরিয়ে দেওয়া চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে লোকজন বেশি চলে এলে সমর্থকরা পালিয়ে যান। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আত্মগোপনে থেকে শুক্রবার হঠাৎ প্রকাশ্যে আসেন তিনি। এদিন মাদারবাড়ি এলাকার নসু মালুম মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে লোকজনের সঙ্গে কৌশল বিনিময় করেন। পরে তিনি একই এলাকায় বোনের বাড়িতে যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। প্রথমে লতিফ সমর্থকরা তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে তারা পালিয়ে যায়। 

পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে তাকে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। তবে তাকে আটক করা হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকারী সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ লতিফ। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতিও ছিলেন। 

এমআর/এমএসএ