ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন হওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ডাক পাওয়া সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমাকে রাখার প্রতিবাদ জানিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমাজের নাগরিকরা।

একইসঙ্গে তাকে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘দালাল’ আখ্যা দিয়ে নতুন সরকারের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বৈঠক চলাকালীন হঠাৎ করেই ‘ক্ষুব্ধ আদিবাসী সমাজ’ ব্যানারে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে তারা দাঁড়িয়ে যান। এ সময় তারা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবি জানানোর কথা জানান।

এ সময় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি রেং ইয়ং ম্রো বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করেই তাদের প্রতিনিধি ঠিক করা এক ধরনের মশকরা। আমরা এতদিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে দেশকে নতুন করে স্বাধীন করেছি কিন্তু নতুন সরকার এসেই আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে। আমরা চাই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যেসব সংগঠন ও স্টেকহোল্ডার আছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রতিনিধি নির্বাচন করা হোক।

তিনি বলেন, এতদিন ছাত্র সমাজ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে রক্ত জরিয়ে একটা পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু নতুন সরকারে এমন একজনকে রাখা হয়েছে যে আগের সরকারের একজন দালাল। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের একজন আমলা ছিলেন। এমন অন্যায় ও বৈষম্য আমরা মেনে নেব না। 

এ সময় চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রানী য়ান বলেন, আজকে আদিবাসী দিবস, দিনটি আমাদের কাছে মহৎ একটা দিন। কিন্তু এই দিনেই আমাদের সঙ্গে নতুন সরকার মশকরা করেছে। যেই ব্যক্তিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি করা হয়েছে, তিনি সবসময় 'জ্বী স্যার' করা টাইপের মানুষ। তিনি কখনই আমাদের হয়ে কিছুই করতে পারবেন না এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা করতে পারবে না। 

তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের সঙ্গে সরকার বসুক, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমাদের প্রতিনিধি ঠিক করা হোক। এর বাইরে যদি এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যিনি আওয়ামী লীগ সরকারেরই আজ্ঞাবহ, তাহলে আমরা মেনে নেব না। তিনি যদি শপথ নেনও, তারপরও আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

টিআই/এসকেডি