পুরো জনবল কর্মস্থলে যোগ না দেওয়ায় সীমিত জনবল নিয়েই প্রাথমিকভাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কয়েকটি থানার কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে ভীতি কাজ করছে কর্মস্থলে যোগদান করা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে তেজগাঁও থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। থানার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরা কাজ করছে, সঙ্গে রয়েছে আনসার সদস্যরা।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক বলেন, সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আমাদের পুলিশ সদস্যদের বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন। মানুষের জানমাল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। সকল নাগরিকদের কাছে অনুরোধ আপনারা থানায় আসুন। আপনাদের সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, তেজগাঁও বিভাগে ৬টি থানার মধ্যে তিনটি থানার কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত থানার স্বল্প পরিসরে কাজ চলছে। এরই মধ্যে থানাগুলোতে অনেক পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দিয়েছে। বাকিরাও আসতে শুরু করেছে। আমরা আশা করছি দুপুরের মধ্যে আমাদের সব পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগ দেবেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তেজগাঁও থানার কার্যক্রম শুরু হলেও চার ভাগের এক ভাগ সদস্য থানায় উপস্থিত হয়েছেন। বাকিরা আসেননি। যারা এসেছেন তারাও ভীত। আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। পরিচয় আড়াল করে তারা চলাফেরা করছেন। জনসেবার জন্য থানা খুলে দেওয়া হলেও পুলিশ সদস্যরা থানার ভেতরেই অবস্থান করছেন। এক ঘণ্টার বেশি সময়ে সেবা প্রত্যাশীদেরও থানায় আসতে দেখা যায়নি।

তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করেছি। আজ অনেক পুলিশ সদস্য আমাদের কাছে নেই। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমাদের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জন্য মানুষের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আসলে আমরা জনগণের সেবক। আপনারা থানায় আসুন। আপনাদের সেবার আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

এমএসি/এমজে