রাজধানীর মার্কেটগুলোতে চলছে ঈদের কেনাকাটা /ছবি- ঢাকা পোস্ট

করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় এপ্রিলের পুরো মাস দোকানপাট ও গণপরিবহন সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের ফলে বন্ধ ছিল। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচল করায় ঈদের মার্কেটে প্রতিনিয়তই ভিড় বাড়ছে জনসাধারণের। প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা পাওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা। 

শুক্রবার (৭ মে) রাজধানী মিরপুর-১১ নম্বর বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্রেতাদের ভিড়ে ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। মানুষের ভিড়ে দোকানের ভেতরে প্রবেশের উপায় নেই। ছোট-বড় সবাই মার্কেটে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। 

তবে কয়েকজন ক্রেতার অভিযোগ, লোকজন বেশি থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছেন। বেশিরভাগ দোকানেই ফিক্সড রেটে থ্রি পিস, শাড়ি ও ছোটদের জামাকাপড় বিক্রি করা হচ্ছে।

হ্যাপি আক্তার নামের একজন ক্রেতা জানান, সরকারি বিধিনিষেধের কারণে এতদিন ঘর থেকে বের হইনি। ঈদ সামনে, কেনাকাটা তো করতেই হবে। এজন্য মার্কেটে এসেছি। পরিবারের লোকজনের জন্য জামাকাপড় কিনতে এসেছি। সরকারের নির্দেশনা মেনে মাস্ক পরে মার্কেটে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে মনে হচ্ছে কিসের করোনা কিসের কী? মানুষ আর মানুষ।

মাসুদ রানা নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, শুক্রবারে অফিস বন্ধ থাকায় ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। কিন্তু মার্কেটে এসে দেখি অবস্থা ভয়াবহ। এতো মানুষ, সবাই কেনাকাটায় ব্যস্ত। মার্কেটে যখন আসছি তখন কেনাকাটা করতেই হবে। এখানে যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি নেই, সেহেতু সাবধানেই কেনাকাটা করতে হবে। এখন পর্যন্ত দুটি থ্রি-পিস কিনেছি। অন্যান্য সময়ের তুলনায় দাম অনেক বেশি। দাম বেশি হলেও কিনতে হচ্ছে। সব দোকানে একই অবস্থা।

মিম ক্লথ স্টোরের ব্যবসায়ী মতিয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, অন্যান্য সময়ের চেয়ে আজকে অনেক ক্রেতা। বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না। 

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বলতে গেলে গত মাস দোকান বন্ধ রেখেই ভাড়া দিতে হয়েছে। লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ ছিল। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলার বিধান রয়েছে। আমরা যতটুকু পারছি সরকারের নির্দেশনা মানার চেষ্টা করছি। তারপরও ক্রেতাদের সেভাবে কিছু বলতে পারছি না। 
 
শাহজাহান বস্ত্র বিতানের ব্যবসায়ী আবদুল মালেক বলেন, আজকেই একটু বেশি ক্রেতার ভিড়। এতদিন কোনো ক্রেতাই ছিল না। তবে ক্রেতাদের এত ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার উপায় নেই। আমরা মাস্ক পরে থাকার চেষ্টা করছি। ঈদের আগ পর্যন্ত এ রকম ক্রেতা পেলে আমাদের গত মাসের লোকসান পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।  

এসআর/ওএফ