শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের অধিকাংশ সরকারি স্থাপনায় হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি সংখ্যালঘুরাও। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা।

ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ফরিদপুরের এক ছাত্রী। তিনি জানান, গত সোমবার রাতে প্রায় একশো জনের একটি বাইকবাহিনী তাদের এলাকায় চক্কর দেন, ভাঙচুরও করেন। তাদের পাড়ায় মূলত সংখ্যালঘুদের বাস। ফলে গোটা এলাকাতেই তুমুল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

আতঙ্কে সারা রাত ঘুমাতে পারেননি বলে জানান এই শিক্ষার্থী। 

তিনি আরও জানান,  আমার কলেজশিক্ষক বাবাকে জামায়াতপন্থি এক সহকর্মী জানিয়েছেন, ভয় পাবেন না। প্রয়োজনে তার বাড়িতে গিয়ে আমার পরিবার থাকতে পারে। আপাতত কয়েক দিন তিনি যেন তার (বাবার সহকর্মী) সঙ্গেই কলেজে যাতায়াত করেন।

সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এভাবে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার খবরেও কিছুটা হতবাক ওই ছাত্রী। তার আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুরা আরও বেশি করে দেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে চাইবেন।

ময়মনসিংহ থেকে গুজরাটের বরোদায় মহারাজা সয়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া শের আলি জানান, দেশের পরিস্থিতি নিয়ে বারবার খোঁজ নিচ্ছেন তিনি। তাদের এলাকায় আক্রমণের মুখে পড়ে মূলত আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা।

তিনি আরও জানান, সংখ্যালঘুদের মধ্যে বেশি সংখ্যক আওয়ামী লীগের সমর্থক রয়েছেন। ফলে তারাও হামলার মুখে পড়েন। তবে ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে প্রবল ভাবে এই ঘটনাগুলোর প্রতিরোধ করা হচ্ছে।

কলকাতা পড়তে যাওয়া আরেক ছাত্র শামীম মাহমুদ বলেন, কয়েক দিন ধরে আওয়ামী লীগের দিক থেকে যে রকম হামলা চলছিল, এখন তারই প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে ছাত্রসমাজ সতর্ক। রাত জেগে মন্দির, গির্জা পাহারা দেওয়ার কাজ করছে।

এমএ