শেখ হাসিনার পতনের পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম নগরের জনজীবন। সড়কে অফিসগামী মানুষের আধিক্য বেড়েছে। তবে গণপরিবহন ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। ফলে ভোগান্তি সঙ্গে করে গন্তব্যে ছুটতে হয়েছে নগরবাসীকে।

এদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা এলেও শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে নগরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর মুরাদপুর, ২ নং গেইট, চকবাজার ও জিইস মোড়ে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। গণপরিবহন কম থাকায় অতিরিক্ত ভাড়ায় গন্তব্যে যাত্রা করেন অনেকে। এসব এলাকায় অধিকাংশ দোকানপাট খোলা রয়েছে। 

এদিকে, অফিস আদালত খুললেও উপস্থিতি কম দেখা গেছে। এছাড়া, স্কুল কলেজেও ছিল না শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি।

মাহমুদুল ইসলাম আজিন নামে এক ফিজিওথেরাপিস্ট ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে অফিস করেছি। এখন বাসায় যাচ্ছি। পথে গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম। আশাকরি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

এর আগে সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার পলায়নের পর নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিজয় উল্লাস করে সাধারণ মানুষ। হাজার হাজার মানুষ নেমে পড়েন রাস্তায়। তাদের অনেকে মিষ্টি বিতরণ করতে থাকেন। ওই দিন দোকানে মিষ্টির সংকট দেখা দেয়। 

এদিন নগরে বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি পুলিশ বক্সসহ থানা ভাঙচুর করা হয়। 

আরএমএন/এমএসএ