প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সচিবালয়সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাই আজ অফিসে আসেননি। এই একই চিত্র দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনেও (ইসি)। সরকারি অফিস খোলা থাকলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অফিস করেননি।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ইসি সচিবালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ তথ্য জানান।

জানা যায়, যথাসময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এলেও অনুপস্থিত ছিলেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা। এমনকি ইসি সচিব শফিউল আজিম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাহবুব আলম তালুকদার নির্বাচন ভবনে আসেননি। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খানসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথাসময়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসিতি হামলার আতঙ্ক বিরাজ করে। উড়ো খবরের ভিত্তিতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন ভবনে হামলার উদ্দেশে বিক্ষুব্ধ জনতা আগারগাঁওয়ের দিকে আসছে এমন উড়ো খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই ভবন থেকে নেমে সামনের সড়কে চলে আসেন।

এই খবরে ইসি ভবনের সামনে সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়ি অবস্থান নেয়। তবে হামলার খবরটি যে গুজব তা বুঝতে পেরে ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফের ভবনে প্রবেশ করেন। পরে দুপুর ১টার আগেই সবাই ইসি ভবন ছেড়ে চলে যান।

এসআর/কেএ