কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দিকে তাকিয়ে আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নতুন সরকার গঠনের পর পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবে মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আশা করা যাচ্ছে, খুব দ্রুতই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়ে যাবে। নতুন সরকার গঠনের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার করণীয় ঠিক করবে। এখন নতুন সরকার গঠনের দিকে তাকিয়ে আছি।

মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি আছে। পররাষ্ট্রনীতি মেনে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বার্তাই হয়তো নতুন সরকার দেবেন।

শিক্ষার্থী আন্দোলনের মুখে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এদিন বিকেলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে কাজ পরিচালনা করব। ধৈর্য ধরুন, সময় দেন।

তারপর এ নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ বিষয়ে সোমবার বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বঙ্গভবন থেকে সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে অনতিবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। আর লুটতরাজ ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে সেনাবাহিনী পদক্ষেপ নেবে।

এনআই/জেডএস