চট্টগ্রামে থানায় থানায় আক্রমণ চলছে
শেখ হাসিনা পালানোর খবরে চট্টগ্রামের মাঠে নেমেছেন সর্বস্তরের জনতা। শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী থেকে পুরুষ সবাই সড়কে নেমে স্লোগান দিচ্ছে। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারযোগে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
সোমবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে মাঠে নামেন জনতা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের কোতোয়ালি, পতেঙ্গা, পাহাড়তলী ও চান্দগাঁও থানায় আক্রমণ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় পুলিশের অস্ত্র, গুলি ও মালামাল লুট করা হয়। একই সঙ্গে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এসব ঘটনায় কয়েকজন হতাহতের খবর পাওয়া গেলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা কোনো মতে প্রাণ নিয়ে থানা থেকে পালিয়ে গেছেন। কেউ কেউ ড্রেস খুলে জনসাধারণের সঙ্গে মিশে থানা ছাড়েন।
পতেঙ্গা থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের থানায় আক্রমণ হয়েছে এবং লুটপাট হয়েছে। থানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন সহকর্মী আটকা পড়েছেন। আপনার (প্রতিবেদক) যদি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে বিষয়টি অবহিত করুন।
এদিকে, সরকার পতনের খবর পেয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এছাড়া যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা হেলাল আকবর বাবর চৌধুরীর নন্দনকাননের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সরকার পতনের খবর পেয়ে গ্রামেগঞ্জে উল্লাস করছেন জনগণ। কোথাও কোথাও মিষ্টি বিতরণ আনন্দ ভাগাভাগি করছেন জনগণে। সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. সাইফ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১৫ বছরের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। মনে হচ্ছে মুক্ত বাতাসে অক্সিজেন নিতে পারছি। আনন্দে আমরা পরিবার নিয়ে মিছিল করছি।
এমআর/এসকেডি