বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচির সমর্থনে সায়েন্সল্যাব মোড়ে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আন্দোলনকারীর সংখ্যা। প্রায় ৩ ঘণ্টায় দেড় হাজারের বেশি আন্দোলনকারী এখানে উপস্থিত হয়েছেন। তবে অন্যান্য সময় এই এলাকাজুড়ে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও আজ দেখা গেছে ভিন্ন অবস্থা। সায়েন্সল্যাব মোড় ছাড়াও আশপাশের কোথাও পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি।

এর আগে, রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী স্লোগান দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এসময় তারা সড়ক অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন। এরপরই শিক্ষার্থী এবং জনতা বিভিন্ন দিক থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেন আন্দোলনে। আন্দোলনকারীদের অধিকাংশের হাতেই বাঁশের লাঠি, রড, স্টিলের পাইপ, জিআই পাইপ দেখা গেছে। তবে সড়ক অবরোধ থাকলেও রোগী বহন করা গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি ওষুধ সরবরাহের গাড়ি চলতে দিচ্ছেন তারা।

আন্দোলনকারীদের সড়কে অবস্থানের বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমরা সহনশীল আচরণ করবো।

এদিকে, আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আইনজীবীরা বলেছেন, পিআরবিতে বলা আছে, গুলি করার আগে পুলিশকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। জীবন রক্ষার্থে সর্বশেষ ধাপ হিসেবে পুলিশ গুলি করতে পারবেন। তবে নির্বিচারে গুলি করা যাবে না।

এ বিষয়ে জারি করা রিট খারিজ করে রোববার (৪ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।

একদফা দাবিতে রোববার সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। তিনি জানান, এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ পালিত হবে।

আরএইচটি/জেডএস