বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচির সমর্থনে রাজধানীর সায়েন্সল্যাবরেটরি মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে পুরো এলাকার কোথাও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। 

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুর সড়কে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। এসময় শিক্ষার্থীদের ‘এক, দুই, তিন, চার-খুনি হাসিনা গদি ছাড়’, ‘এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘চলছেই চলবে, আমাদের আন্দোলন’-সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শোনা গেছে। অবরোধের ফলে এই সড়কে সবধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

একদফা দাবিতে রোববার সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। তিনি জানান, এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ পালিত হবে।

এদিকে, অবরোধ কর্মসূচির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সড়কে, চলছে শুধু রিকশা-সিএনজি। সড়কে মাঝে মাঝে বাসের দেখা মিললে তাতে হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা গেছে যাত্রীদের। গণপরিবহন সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রী, জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ, হাসপাতালগামী রোগী ও স্বজনরা।

শনিবার দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও এর আশপাশের অবস্থান নেওয়া শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কোটা আন্দোলনের সমর্থনে অভিভাবক ও অনেক শ্রেণি-পেশার মানুষও এতে অংশ নেন। এসময় অনেকের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। 

গত শুক্রবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শনিবারের বিক্ষোভ এবং রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়।

আরএইচটি/জেডএস