ছাত্ররা যদি যথাযথ প্রমাণপত্র নিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করে তাহলে আধা ঘণ্টার মধ্যে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, আমরা ছাত্রদের দ্রুত জামিনের ব্যবস্থা করছি। এমনি এমনি তো জেল থেকে ছাড়া যাচ্ছে না। যথাযথ পদ্ধতিতে জামিন আবেদন করতে হবে। এরপর আদালতে ছাত্র হিসেবে প্রমাণ দেখাতে পারলে জামিন হবে। আমরা বিষয়টি আইনজীবীদের জানিয়েছি। আজ একটা মিটিংয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়েছি। আমরা অপেক্ষায় আছি, আদালতও অপেক্ষায় আছেন। জামিনের পর তাদের জেল থেকে দ্রুত মুক্তির ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করা হবে।

শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক আটক সাধারণ ছাত্রদের মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।

এদিকে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে গণভবনে জরুরি বৈঠকে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন এবং তিনজন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এমআর/এসএসএইচ