চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, হত্যা, নির্যাতনে জোরদার হয়েছে আন্দোলন। ফলে বর্ধিত ১৫৮ সদস্য বিশিষ্ট নতুন সমন্বয়ক টিম ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত ‌‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম গ্রুপে নতুন সমন্বয়ক রিফাত রশিদ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেন। তাছাড়া, আন্দোলনের সুবিধার্থে সামনের দিনে সারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়কদের নিয়ে সমন্বয়ক টিম বর্ধিত করা হবে বলেও জানানো হয়।

আন্দোলনকে আরও গতিশীল করতে কমিটিতে সমন্বয়ক হিসেবে ৪৯ জন এবং সহ-সমন্বয়ক হিসেবে ১০৯ জন শিক্ষার্থীকে পদায়ন করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্মমভাবে চালানো গণহত্যার বিচার, গণহত্যায় দায়ীদের পদত্যাগ এবং গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবিতে সারা দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৫৮ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক টিম গঠন করা হলো।

সমন্বয়কদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

এর আগে ৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।

সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে হত্যার প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় ফেসবুক পোস্ট ও ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদ। 

এর আগে ১ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের প্রেরিত এক বার্তায় শুক্রবার সারা দেশে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ নামে নতুন কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে। এসব ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংখ্যা দুই শতাধিক বলে দাবি করা হচ্ছে।

কেএইচ/এমএ