বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচি ঘিরে ফের উত্তাল রাজধানী ঢাকা। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় পর সায়েন্সল্যাব মোড়ের অবরোধ ছেড়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে উভয় পাশের যানচলাচল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর সাইন্সল্যাবে গণমিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ যোগ দেন। দীর্ঘসময় তারা সাইন্সল্যাব অবরোধ করে রাখেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন- ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘এক-দুই-তিন-চার, শেখ হাসিনা স্বৈরাচার’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘ভুয়া ভুয়া, পুলিশ ভুয়া’।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের প্রেরিত এক বার্তায় শুক্রবার সারা দেশে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ নামে নতুন কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, “আপনারা জানেন আমরা আমাদের কোনো ব্যক্তিস্বার্থের জন্য আন্দোলন করছি না। আমাদের আন্দোলন আপনার ও আপনার সন্তানের মুক্তির জন্য। কী অপরাধ ছিল আমাদের? সাংবিধানিক অধিকার চাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ? কী অপরাধে শত শত ভাইদের হত্যা করা হলো? আমরা এর জবাব জানি না।

কিন্তু এর জবাব ও বিচার না নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলনকে থামাব না। জাতির এই দুর্দিনে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে শহীদ, আহত, পঙ্গু ও গ্রেপ্তার হওয়া সকলের স্মরণে শুক্রবার দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।”

নির্বিচারে হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার (২ আগস্ট) মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির ও গির্জাসহ সকল উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ বাংলাদেশের সব স্তরের নাগরিকদের প্রতি ঘোষিত কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করার আহ্বান জানানো হয়।

আরএইচটি/এমএসএ