যে কারণে জরিমানা গুনতে হলো আড়ংকে
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিং মল পরিচালিত হচ্ছে কি-না তা পরিদর্শনে গতকাল থেকেই ঝটিকা অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় আড়ংয়ের আউটলেটে আকস্মিক পরিদর্শনে যান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
পরিদর্শনকালে আড়ংয়ের ওই আউটলেটে ধারণক্ষমতার অনেক বেশি ক্রেতার উপস্থিতি দেখতে পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। লোক সমাগম বেশি থাকায় মানা হচ্ছিল না সামাজিক দূরত্ব। আউটলেটে নারী, পুরুষের পাশাপাশি শিশুদের উপস্থিতিও ছিল। এ অবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ আড়ংয়ের ওই আউটলেটকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় আড়ংয়ে উপস্থিত ক্রেতাদের উদ্দেশে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি নিজে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আপনাদের সতর্ক করতে এসেছি। আপনারা নিজেরা সচেতন হলে পরিবারের অন্য সদস্যরাও সচেতন থাকবে। আপনারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াবেন।
এ সময় অভিযান পরিচালনাকারী টিমের পক্ষ থেকে আসাদগেট আড়ং কর্তৃপক্ষর কাছে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত ক্রেতার ভিড় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তারা বলেন, আমরা মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মার্কেট খোলা রেখেছি। ক্রেতারাও মাস্ক পরে এখানে আসছেন। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও অনেক ক্রেতা আউটলেটের ভেতরে প্রবেশ করে কেনাকাটা করছেন। একজন ক্রেতার সঙ্গে আরও তিন থেকে চারজন করে পরিবারের সদস্য বা পরিচিত জন অথবা আত্মীয় স্বজন থাকছেন। আমরা চেষ্টা করেও ক্রেতাদের ভিড় সামাল দিতে পারছি না। এখন থেকে এ বিষয়ে আমরা আরও কঠোর হবো।
আরও পড়ুন : আজও আড়ং আউটলেটের সামনে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন
মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শর্ত ছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিং মল খোলা রাখা হবে। আড়ংয়ের আসাদগেট আউটলেটে ধারণক্ষমতার বেশি ক্রেতা ঢুকেছেন। অনেকে বাচ্চা নিয়ে কেনাকাটা করতে আসছেন। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না হওয়ায় আজ আড়ংকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হলো। এ বিষয়ে তারা সচেতন না হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গতকালও দোকানপাট ও শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ঝটিকা অভিযানে অংশ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। গতকালের অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৯০টি মামলায় ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৪৬০ টাকা জরিমানাসহ ৩টি দোকান সিলগালা করা হয়।
এএসএস/এসকেডি